প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

১৯৮৩ ইং সালে চর সিংড়াবাড়ী গ্রামের জনগন মিলেমিশে ইসলামী শিক্ষা তথা কোরান শরীফ শিক্ষা দেওয়ার জন্য মৃত শামছুল হক ফকির সাহেবের প্রচেষ্টায় ১ খানা ঘর তৈরী করে তাহাতে কোরান শিক্ষা শুরু করেন। এবং জনগনের মুশটির চাউলে তাহা চলিত। তাহা চর সিংড়াবাড়ী সরকারী প্রাইমারী স্কুল মাঠে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১ বছর পর ১৯৮৪ সালে সরকারী অনুদানের জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠান টি ইবতেদায়ী মাদরাসায় উন্নতি করা হয়। ইবতেদায়ী মাদরাসাটি কোন অনুদান ভুক্ত না হওয়া চর সিংড়াবাড়ী এবং সিংড়াবাড়ী দু গ্রামের জনগনের প্রচেষ্টায় প্রক্তন চেয়ারম্যান জনাব মোঃ জাবেদ আলী সরকার সাহেবের নির্দেশনায় জনাব মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, জনাব মোঃ আখের আলী হাজী এবং জনাব হাফেজ মোঃ মোজাম্বেল হক সাহেবের, অক্লান্ত প্রচেষ্ঠায় ডিষ্টিক্ট বোর্ডের সড়কের পাশ্বে সিংড়াবাড়ী নিবাসী মোঃ ইছহাক উদ্দিন মন্ডলের ১ একর জমির মধ্যে দুটি টিনশেড ঘর তৈরী করে ১৯৮৬ সালে চর সিংড়াবাড়ী হতে স্থানান্তর করে চর সিংড়াবাড়ী এবং সিংড়াবাড়ী গ্রামের জনগন মিলে দুই গ্রামের নামে ১ টি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। সিরাজগঞ্জ জেলার মটিয়ারপুর নিবাসী মোঃ আঃ আজিজ নামে ১ ব্যাক্তিকে সুপার নিয়োগ করে মাদরাসার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তাদের প্রচেষ্টায় ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ঢাকা কর্তৃক দশম শ্রেণী খোলার অনুমতি প্রাপ্ত হয়। সরকারী প্রদত্ব এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় উক্ত সুপার সাহেব চাকুরী ত্যাগ করে অনত্র চলে যান। বিলদুয়ারিয়া নিবাসী জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান নামে ১ জন ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। তিনি ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ছাত্র/ছাত্রী দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করান এবং এম.পি.ও ,ও ভুক্ত করার জন্য অনেক চেষ্টা করেও এম,পি,ও ভুক্ত করতে পারেন নাই। শেষ পর্যন্ত উক্ত হাবিবুর রহমান চাকুরী ছেড়ে দিয়ে অনত্র চলে যান। এদিকে যমুনার কড়াল গ্রাসে মাদরাসার ভিটা মাটি ভেঙ্গে যায়। তখন সিংড়াবাড়ী গ্রামের হাফেজ মোঃ মোজাম্বেল হক সাহেব উক্ত ঘরগুলি পানির মধ্যে দিয়ে টেনে হেচরে দুবলাই সি এন্ড বি পাকা সড়কের পাশ্বে জড় করে রাখেন। এরপর কাজিপুরের কৃতিসঞ্জান বিশিষ্ট দানবীর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোশারফ হোসেন সাহেব নিজের টাকা দিয়ে ৫০ শতাংশ জমি মাদরাসার নামে ক্রয় করে দেন এবং সি এন্ড বি পাকা সড়কের পার্শ্বে উপজেলা প্রশাসন থেকে মাত্র ১.৫ কিঃ মিঃ দক্ষিনে নিরি বিলি মনোরম পরিবেশে দুলাই গ্রামে ১৯৯৪ সালে পূনঃ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ০১/০১/১৯৯৪ সালে এস.এম. আব্দুর রহমান গ্রাম+পোঃ- দুবলাই, কাজিপুর সিরাজগঞ্জ-কে সুপারিনটেনডেন্ট হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। তারই হাত ধরে সকল শিক্ষক/শিক্ষিকা ও এলাকা বাসীর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় অত্র কাজিপুর আসনের এমপি আলহাজ মোহাম্মাদ নাসিম মহোদয়ের সহযোগিতায় ১৯৯৫ সাল থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করান ১৯৯৬-১৯৯৭ সালের দাখিল পরীক্ষার সন্তোষ জনক ফলাফলের ভিত্তিতে ততকালিন কাজিপুর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ, গৃহায়ন ও গনপূর্ত এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, আলহাজ মোহাম্মাদ নাসিম মহোদয় ১৯৯৮ সালে মাদরাসাটি এম.পি.ও ভুক্ত করেন এবং মাদরাসায় পাকা ভবন নির্মান করেছেন। কাজিপুরের মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল না সিরাজগঞ্জ সদরে গিয়া পরীক্ষা দিতে হত তাই গরীব ছাত্র/ছাত্রীদের প্রতি লক্ষ্য করে এখানে একটি দাখিল ও জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। কাজিপুর উপজেলার সকল মাদরাসা এখানে এসে জেডিসি/দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। তাই আমরা এমপি আলহাজ মোহাম্মাদ নাসিমের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নছিব করুন- আমিন!। এরই ধারাবাহিকতায় মাদরাসাটির সুনাম উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কাজিপুরের মাদরাসা সূমহের মধ্যে একটি ব্যতিক্রম ধর্মী, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্থান পেয়েছে।